বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শেরপুরের ঝাউগড়ায় গণহত্যায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
১০ মে শুক্রবার শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানাধীন ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেরপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন, পিপিএম-সেবা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঝাউগড়া গণহত্যায় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ও নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন, পিপিএম-সেবা সহ গণহত্যার বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া প্রমুখ।
এ সময় শেরপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ খোরশেদ আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ সাইদুর রহমান সহ জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে শেরপুর শহর থেকে কয়েকটি পরিবার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা স্কুলসংলগ্ন মহেন্দ্র দের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১০ মে স্থানীয় রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হামলা চালায়। ওই দিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের ৮ জন ব্যক্তিকে সদর উপজেলার মৃগী নদীর হাঁটুপানিতে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। শহীদরা হলেন চৌথমল কারুয়া, নিবারণ চন্দ্র সাহা, গোপেশ্বর সাহা, নিহার বসাক, মহেন্দ্র দে, চিত্ত বিশ্বাস, নেপাল বিশ্বাস ও ভক্তরাম বিশ্বাস।