লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের রাস্তারহাট মাজহারুল উলুম আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ ইসমাইলের বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষককে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই নারী শিক্ষক লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষিকা এনটিআরসিএ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে গেল দুই বছর আগে মাদ্রাসাটিতে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ী নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা হওয়ায় মাদরাসার পাশে একটি বাসায় তিনি ভাড়া থাকেন। চাকুরীতে যোগদানের সময় অধ্যক্ষ তার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবী করলে ওই নারী শিক্ষক তাকে নগদে এক লাখ টাকা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষ তাকে যৌন হয়রানিসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এতে সাড়া না দেওয়ায় মাদরাসার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোঃ নুর আলম ও কম্পিউটার অপারেটর মোঃ হারুনুর রশীদকে তার পিছনে লেলিয়ে দেয়। এরা দুইজন অধ্যক্ষের অনুগত। এ দুইজন তাকে অশালীন কথাবার্তা ও শারিরীক সম্পর্ক তৈরী করতে নানা প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। চাকুরী করতে এসে সবসময় অধ্যক্ষ ও তার দুই অনুসারীর যৌন হয়রানি ও বিদ্রুপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
একজন নারী হয়ে নীলফামারী থেকে এ অঞ্চলে চাকুরী করতে এসে এদের অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে তাকে। এমতাবস্থায় বিষয়টির বিচার চেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী শিক্ষক।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইসমাইল এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা কয়েকদফা বৈঠক করেছেন। সমাধান করতে আবারও বৈঠক করবেন।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, একজন নারী শিক্ষককের সাথে এ ধরনের আচরণ কোন অবস্থাতেই উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রোধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।