আগামী মাসে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। নিরাপদ মাংস উৎপাদনে গবাদি পশু ১লাখ ৩৮হাজার ৫৪ জন খামারীর খামারে কোরবানির জন্য ১৬লাখ ১৯ হাজার ৪১৭টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঈদ-উল-আযহার জন্য খুলনা বিভাগে চাহিদা রয়েছে ১১লাখ ৬হাজার ৫৩২টি।
উদ্বৃত রয়েছে ৫লাখ ১২হাজার ৮৮৫টি। যা ৩২.৬৭১শতাংশ বেশী। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৩শতাংশ কম। কোরবানি যোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড়, বদল, গাভী, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া।
সূত্র জানিয়েছেন, খুলনা জেলায় ১০৫৫২জন খামারীর কোরবানি যোগ্যপশু রয়েছে ১৫৬২৭৮টি। চাহিদা রয়েছে ১৩৪৪৪৩টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ২১৮৩৫টি। বাগেরহাট জেলায় ৮৩২০জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১১২৪১৩টি। চাহিদা রয়েছে ১০২৭৮২টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৯৬৩১টি। সাতক্ষীরা জেলায় ১২৮৮৯জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১২৯৭০৮টি। চাহিদা রয়েছে ১০০৫৭৭টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ২৯১৩১টি। যশোর জেলায় ১৪১৩৫জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১২৬৮৫১টি। চাহিদা রয়েছে ৯৬৭১৮টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে৩০১৩৩টি। ঝিনেদা জেলায় ২৩১২৬জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৩১৯১১৩১টি। চাহিদা রয়েছে ১৮৯৭৪০টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে১২৯৩৯১টি।
মাগুরা জেলায় ৫৮৩৬জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৯২৮৯১টি। চাহিদা রয়েছে ৬৯৬৬৮টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ২৩২২৩টি। নড়াইল জেলায় ৪৪৭৮জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৫৩৬৩৯টি। চাহিদা রয়েছে ৩৮৬৭৬টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৪৯৬৩টি। কুষ্টিয়া জেলায় ১৮১৯৩জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ২০৩৭৮৯টি। চাহিদা রয়েছে ১২৪৮৭৯টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৭৮৯১০টি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০৯১৭জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ২১১৮৭৯টি। চাহিদা রয়েছে ১৫৮৮৫৬টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৫৩০২৩টি এবং মেহেরপুর জেলায় ২৯৬০৮জন খামারীর কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ২১২৮৩৮টি। চাহিদা রয়েছে ৯০১৯৩টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২২৬৪৫টি।
খামারীরা জানিয়েছে, কোরবানী যোগ্য পশুকে সুষম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশু খাবারে দাম বেশী। এ বছর একাধিক বার দাম বেড়েছে।
রূপসার শিরগাতী গ্রামের খামারী এম এম মিজানুর রহমান বলেন, এবছর ৪বার পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়বে পশুর ওপর। ফলে পশুর দামও বাড়তি হবে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (চ.দা) ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন,খামারে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। উৎপাদন বেশী । খামারে বড় বড় পশু রয়েছে। প্রতিটি হাট-বাজারে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এই বিভাগে পশু সংকট নেই। চাহিদার তুলনায় বেশী রয়েছে। মাঠে ঘাষ চাষ হওয়ার কারণে খাবার সংকট নেই। খামারীরা দুধ বিক্রির পাশাপাশি পশু পালন করে লাভবান হচ্ছেন। অনেক দামে তারা পশু বিক্রি করছেন।