বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ ৫ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের ফসল ঘরে তুলতে চায় বিএনপি নেতা
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ৪:০১ PM
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে তালতলী উপজেলায় ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই জন থাকলেও বিএনপির একজন বহিষ্কৃত নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামীলীগ ভোটের লড়াইয়ে বিএনপি নেতা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে ধারণা ভোটারদের।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির ঘোড়া প্রতীক ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক এবং উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক পাওয়ার আগে বিএনপি নেতা জনসংযোগে না থাকলেও আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের ভেতরে কোন্দলের সুযোগের অপেক্ষায় এই বিএনপি নেতা।

আওয়াগীলীগের দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুইজন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এতে দলের ভোট ভাগাভাগি হবে। এই সুযোগ যদি কাজে লাগাতে পারে তাহলে শেষ পর্যন্ত সদ্য সাবেক বিএনপি নেতার সঙ্গেই লড়াই করতে হবে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে। এদিকে ভোট বর্জনে উপজেলা বিএনপি নেতারা লিফলেট বিতরনসহ বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে। এজন্য বিএনপির লোকজন ভোটে না গেলে তাদের বহিষ্কৃত নেতা তেমন সুবিধা করতে পারবেন না।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু গত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। সেই সময় নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির। এই দুই জন ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় এলাকার তেমন উন্নয়ন করতে পারেননি বলে ভোটারদের অভিযোগ রয়েছে। তবে তারা ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, এইবার নির্বাচিত হলে আগের থেকে উন্নয়ন বেশি হবে। এজন্য তফশিল ঘোষনার আগ থেকেই দুইজন মাঠে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। সেই সময় প্রচারণায় ছিলো না বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। তবে বর্তমানে মাঠে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীই সমানে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, সাবেক ও বর্তমান দুই জনেরই ‘সুনাম-বদনাম’ দুটিই আছে। এই দুই জনের আমলে এ উপজেলায় তেমন উন্নয়ন হয়নি। তবে ভোটের হিসাবে ভালো প্রভাব রাখবেন তারা। এই সুযোগে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি নেতা উঠে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।  

তেতুলবাড়িয়া এলাকার ভোটার সলেমান মাতুব্বর বলেন, মানুষের ভোট নিয়ে আগ্রহ কম। তার পরেও আমরা চাই ভোট নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

মটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ভাইস চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় কোনো মানুষের উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করি নাই। চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। অন্য যারা প্রার্থী হয়েছে তাদের অনেক টাকা আছে। আমার তেমন টাকা নেই। তাই জনগন আমাকে ভালোবেসেই ভোট দিবে।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, এবার তো দলীয় ভোট হচ্ছে না। এজন্য ভোটাররা দলের চেয়ে ব্যক্তিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বেশি। আমি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই ভোটাররা সবকিছু বিবেচনায় রেখে আমাকে ভোট দেবেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান ও ঘোড়ার প্রতীকের প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকাস্থায় এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি কোনো দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমার সময়ে কোনো সন্ত্রাস ছিলো না। সাধারণ জনগন এবার আমার পক্ষে কাজ করছে। তাছাড়া যে তিন জন প্রার্থী আমরা আছি তার মধ্য থেকে সাধারণ মানুষ যদি আমাকে চায় তাহলে আমি বিজয়ী হবো।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত