টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে হিরোইন সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করায় বাড়ি ঘেরাও করে এলাকার মুসল্লিরা। শুক্রবার (২৪ মে) জুম্মার নামাজের পর এলাকার মুসল্লিরা বাড়ি ঘেরাও করেন। ঘটনাটি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের স্থলকাশি গ্রামের সুরমান আলীর বাড়িতে ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সুরমান ও তার স্ত্রী এবং তার ছেলে সোহাগ ও ছেলের বউ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে মাদকদ্রব্য বিভিন্ন স্থান হতে স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে বাড়ি থেকে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি ও সেবন করে আসছে। এর আগে শুধু সুরমান ও তার স্ত্রী এই ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও পরবর্তীতে তার ছেলে ও ছেলের বউ জড়িয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় আব্দুল হালিম চকদার, আব্দুর রহমান মাস্টার, আব্দুর রহিম ও মামুন সরকার বলেন- আমাদের স্থলকাশি গ্রামের সুরমান আলী দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করে আসছে। এর আগে গোপিনাথ পুর ও জিগাতলা গ্রামে বসবাস করতো। সুরমান ও তার পরিবারের লোকজন হিরোইন সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে।
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মাদকসেবীরা তার বাড়িতে আসা যাওয়া করে। আমরা বারবার নিষেধ করার পরেও সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে রয়েছে। তাই আমরা মুসল্লিরা জুম্মার নামাজ শেষে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সাবধান ও সতর্ক করতে এসেছি। এর পরও যদি কোন দিন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে তাহলে সামাজিক ভাবে বসে তাকে এলাকা ছাড়া করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তারা আরো বলেন- এর আগেও ৫/৬ মাস আগে এলাকাবাসী তার বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা বাড়িতে ছিল না। এছাড়া মাঝে মধ্যে প্রশাসন তাদের ধরে নিয়ে গেলেও কয়েকদিন পরে আবার চলে এসে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, সুরমানের এ মাদক ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়।
মাদক ব্যবসায়ী সুরমান আলী বলেন- আমি এর আগে হিরোইন সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করতাম কিন্তু এখন এই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। এরপর কোনদিন আমাকে মাদকদ্রব্য ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে দেখলে এলাকাবাসী যে শাস্তি দেবে তা মেনে নেব।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন- এধরণের কোন অভিযোগ আসলে সাথে সাথে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ে আমরা সব সময় সোচ্চার রয়েছি। এবিষয়ে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।