ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহের চামড়া ছাড়ানো হয়। চামড়া ছাড়ানোর পর মরদেহ কেটে খণ্ড খণ্ড করা হয়। যাতে করে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না করা যায়।
এই হত্যা কান্ডে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ। পরে কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেনের ফ্ল্যাট থেকে ট্রলিতে করে ভিকটিম আনারের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ বের করা হয়।
এ সংক্রান্ত ৫৮ সেকেন্ডের একটি ফুটেজ এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৪ মে কলকাতার সময় সোয়া ৫টার দিকে দুই ব্যক্তি পেস্ট কালারের একটি ট্রলি ও দুই থেকে তিনটি পলিথিন ব্যাগ নিয়ে সঞ্জীভা গার্ডেনের লিফটে উঠছেন।
এ সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দুই ব্যক্তি হলেন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ও জিহাদ ওরফে জাহিদ। আমান ট্রলি ব্যাগে করে ও জাহিদ পলিথিন ব্যাগে করে আনারের খণ্ড খণ্ড মরদেহ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান মরদেহ গুম করার জন্য। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আমান সিসিটিভির ফুটেজের ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি ডিবিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মরদেহ খণ্ডবিখণ্ড করে তারা ট্রলি ও ব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে বের হন।
জিজ্ঞাসাবাদে আমান আরও জানায়, এমপি আনারকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর হাত-পাসহ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করা হয়। এরপর কলকাতার হাতিশালা বর্জ্য খালে ফেলে দেওয়া হয়।