ফাইনালে ৮ উইকেটের জয় কেকেআর শিবিরকে এনে দিল তাদের তৃতীয় আইপিএল শিরোপা। ২০১২ এবং ২০১৪ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন হলো শাহরুখ খানের দল।
ফাইনালে হায়দরাবাদের দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী কলকাতাকে খেলতে হলো মোটে ১০.৩ ওভার। ভেঙ্কেটশ আইয়ারের আগ্রাসী ফিফটি আর রহমানউল্লাহ গুরবাজের সময়োপযোগী ইনিংসে সহজেই লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যায় চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের শিষ্যরা।
গুরবাজ দলীয় ১০২ রানে আউট হলেও দলকে ঠিকই জয়ের কাছে রেখে এসেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ভেঙ্কেটশের সঙ্গে তার ৯১ রানের জুটি নিশ্চিত করেছে কলকাতার জয়।
আর শেষটা করেছেন অধিনায়ক শ্রেয়াশ আইয়ার। ২৪ বলে ফিফটি করা ভেঙ্কেটশ অপরাজিত ছিলেন ৫২ রান করে। দলের জয়সূচক রানটাও এসেছে তারই ব্যাট থেকে।
১১৪ রানে প্রতিপক্ষকে থামাতে যেমন আগ্রাসী বোলিং দরকার ছিল, তার কিছুই দেখাতে পারেননি হায়দরাবাদের বোলাররা। ব্যাটিং ইউনিটের পর বোলিং ইউনিটও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বড় ম্যাচে এসে। ভুবেনেশ্বর, প্যাট কামিন্স কিংবা থাঙ্গারাসু নটরাজনের কেউই স্বস্তি পাননি বোলিংয়ে এসে।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই কলকাতা স্কোরবোর্ডে তুলেছে অর্ধেকের বেশি রান। ১ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তোলে ওই ছয় ওভারেই। জয়ের জন্য বাকি ১৪ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪২ রান। সেই রানটাও এসেছে অনায়াসে। ওভারপ্রতি ১০ এর কাছাকাছি রান তুলে নিশ্চিত করেছে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা।
অবশ্য কলকাতার জয়ের ভিত পুরোপুরি গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। ফাইনালে এসেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পুরো আসরেই নিজেদের ব্যাটিং দিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের নাজেহাল করেছিল তারা।
আর আজ দেখতে হলো একেবারেই উল্টো এক চিত্র। এবারের আসরে যে দলটি দুবার দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল, তারাই ফাইনালে কলকাতার পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।