মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় আজ শনিবার (১জুন) র্যাব সদস্য পরিচয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে পালানোর সময় পাঁচজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী।
পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত র্যাবের স্টিকারযুক্ত হায়েচটি (নম্বর: ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৯৪৫৭) আটক করে বিক্ষুব্ধ জতনা।
ওই ব্যবসায়ীর নাম সুমন হালদার (৩০)। তিনি দোহার উপজেলার জয়পাড়া বাজারে স্বর্ণ ব্যবসা করেন। সে উপজেলার জয়পাড়া গ্রামের বৌদ্ধু নাথের ছেলে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন হালদার বলেন, আমরা তিন জন সিএনজি করে জয়পাড়া থেকে আমার ব্যবসায়ী পার্টনারের বাসা সিংগাইরের জামশা বাজারে আসতে ছিলাম। আমার সঙ্গে একশ ভরি স্বর্ণ ছিল। সকাল সাতটার দিকে আমতলা এলাকায় পৌঁছালে পাঁচ অপহরণকারী তাঁর গতিরোধ করে। এরপর তারা নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে হাত ও মুখ বেধে জোর করে গাড়ীতে তোলে নিয়ে যায়। এবং একজন মোটরসাইকেল করে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
আটক কৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার রাধানগরের নগরকান্দা গ্রামের মালেক শেখের ছেলে মিরাজুল শেখ (২৮), সোলেমান মৃধার ছেলে সম্রাট (২৮), সিকান্দারের ছেলে শামিম (শামিম র্যাব-১ এ কর্মরত বলে জানা যায়), পাবনা জেলার আটঘড়িয়া থানার পাটেশ্বর গ্রামের মৃত ফরমান প্রামানিকের ছেলে আমিজুদ্দিন (৫০), সাভারের আশুলিয়ার খেজুরটেক গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম বক্সের ছেলে জানিব বক্স (৬২)। তিনি নিজেকে ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সুমন হালদর সিএনজি করে জয়পাড়া থেকে সিংগাইরের জামশা বাজারে আসার সময়। সকাল সাতটার দিকে আমতলা এলাকায় পৌঁছালে পাঁচজন অপহরণকারী তাঁর গতিরোধ করে। এরপর তারা গাড়ী থেকে নেমে নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে হাত ও মুখ বেধে সুমন ও সাথে তাকা আরো তিনজনকে জোর করে গাড়িতে তোলে। এরপর তারা গাড়ীটি সিংগাইরের দিকে যেতে থাকে।
হায়েচটি জামশা বাজারে পৌছালে লোকজনের সন্দেহ হলে তাঁরা গাড়ীটি ঘেরাও করে। স্থানীয়রা তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ড্রাইভারসহ মোট ৫ জনকে আটক করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে, তাদের আরো একজন সদস্য পলাতক আছে। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। তাদের সাথে থাকা একটি হাইচ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।