যাত্রীবাহী রেলে পণ্য আনা নেওয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীনা ল্যাগেজ ভ্যান। ৫০টি ল্যাগেজ ভ্যান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি লাগেজ ভ্যানের কাজ শেষে রেলের ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্টগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের প্রধান ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে সবজি, কাঁচামাল ও অন্যান্য পণ্য ট্রাক-পিকআপেই পরিবহন করা হয়। ঢাকার বাজারেও বেশিরভাগ পণ্য আসে সড়কপথে। তবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য স্বল্প ভাড়ায় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে আন্তঃনগর ট্রেনে পণ্যবাহী কোচ বা লাগেজ ভ্যান যুক্ত করলো রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে এখন থেকে শাকসবজি, মৌসুমী ফল,পচনশীল দ্রব্য যেমন- মাছ, মাংস, দুধ এসব ট্রেনে আনা-নেয়া করা যাবে।
রেলওয়ে কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১০টি পরে আরও ৪ দফায় মোট ৫০টি লাগেজ ভ্যান সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নেয়া হয়। সকল ভ্যানে আধুনিক সুবিধাদি সংযোগ করায় মালামাল পরিবহনে ব্যবসায়ীরা বিশেষ সুবিধা ও নিরাপত্তা পাবেন। চীনা প্রকৌশলীরা স্থানীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে লাগেজ ভ্যানের কোচগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাজ করছেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের প্রধান ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম জানায়, চীন থেকে আমদানি করা লাগেজ ভ্যানের মধ্যে সাধারণ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দু’ধরনের কোচ রয়েছে। কোচগুলো কারখানায় আনার পর সেগুলোতে প্রথমে কমিশনিং, স্ট্যাটিক টেস্ট ও ডায়নামিক টেস্টের পর ট্রাফিক বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউ এম) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, সৈয়দপুর কারখানায় আসা ৫০টির মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৮টি লাগেজ ভ্যান চলাচলের উপযোগী করে রেলের ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের কৃষিজাত পরিবহনের জন্য এসব লাগেজ ভ্যানগুলো আমদানি করা হয়েছে। এগুলো যাত্রীবাহী ট্রেনে যুক্ত করা হলে মালামাল পরিবহন যাত্রীদের সুবিধা হবে।