চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে অভিনব কায়দায় ছিনতাইকৃত ইলেকট্রনিক্স মালামাল উদ্ধার করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এসময় আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকেও আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন বিকেলে থানার রিয়াজউদ্দিন বাজার রিজোয়ান কমপ্লেক্স থেকে জনৈক শাহেদুল ইসলাম ছয় কার্টুন টর্চলাইট নিয়ে রিকশায় করে নতুন ফিশারীঘাট যাওয়ার সময় নিউ মার্কেট মোড়ে অজ্ঞাতনামা রিকশা চালক কৌশলে শাহেদুলকে সিগন্যাল দেওয়ার কথা বলে রিকশা থেকে নামিয়ে দেয়। শাহেদুল রিকশা থেকে নামতেই অজ্ঞাতনামা আরও দুইজন ছিনতাইকারীর সহায়তায় চালক রিকশায় থাকা মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনায় জনৈক মোঃ তৌহিদ বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন ৷ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ রবিউল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলশী থানাধীন আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের সদস্য মোঃ সুমনকে(৩৮) আটক করে। পরবর্তীতে আটক আসামীর দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত ৪৪০ পিস টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা৷
কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল হক বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার সহযোগী মোঃ জামাল প্রঃ জামাল উদ্দিন(৩২) ও মোঃ সুখাই মিয়ার (৬৫) সহযোগিতায় ছিনতাই করার কথা স্বীকার করেছে। তারা মূলত আন্তঃজেলা ছিনতাই চক্রের সদস্য। চক্রের সদস্যরা ঘটনার ২ দিন আগে চট্টগ্রামে আসে। পরবর্তীতে ৩ হাজার টাকা জামানত দিয়ে একটি রিকশা ভাড়া নেয়। ভাড়ায় নেয়া সেই রিকশাটি ব্যবহার করে চক্রের এক সদস্য রিকশা চালক সেজে অপর দুই সদস্যের সহযোগিতায় নিউ মার্কেট মোড়ে ছিনতাই করেছিল বলে স্বীকার করেছে। চক্রটি বিভিন্ন জেলায় এই পদ্ধতিতে ছিনতাই শেষে দ্রুত সরে পড়তো ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অধরাই থেকে যেতো।
আসামিকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি কোতয়ালি।