ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. নাফিসা কবির এর অবহেলায় জিমু খাতুন (১৯) নামের এক মায়ের প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। উপজেলার পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
জিমু খাতুন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় সাইদুর রহমান বাদি হয়ে ডা. নাফিসা কবির, ঝাড়ুদার ও আয়া পারুল, সাথী ও রাসেলের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে গত ৬ জুন জমজম হাসপাতালে এনে ডা. নাফিসা কবীরকে দেখানো হয়। তিনি ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রামসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে জানান সব স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার রাতে জিমুর প্রসব বেদনা শুরু হলে রাত ১টায় জমজম হাসপাতালে ভর্তি করি। ডা. নাফিসা আবারও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বলেন, সব স্বাভাবিক আছে। ২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা আছে। এরপর তিনি বাড়ি চলে যান। রাত ৩টার দিকে প্রসূতির তীব্র ব্যাথা শুরু হলে ডেলিভারির জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ডা. নাফিসা হাসপাতালে না আসায় নার্স ও ঝাড়ুদাররা ডেলিভারি করান। এর কিছুক্ষণ পর আমাকে বলা হয়, মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে। পরে ডা. নাফিসা কবীর এসে একই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রসূতির অবস্থা আশংকাজনক। তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নবজাতক শিশুটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।