নীলফামারীর ডিমলায় ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৭শত কৃষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবাররা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টার সময় ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুঠিরডাঙ্গা নাম স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলন ডিমলা উপজেলার কুঠিরডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পঁচারহাট ও পার্শ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা ও খারিজা গোলনা ৫টি মৌজার এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন,বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন, তইবুল ইসলাম, আলম মিয়া, আশুতোষ, মোসলেম উদ্দিন, মেরাজ, লায়ন সহ আরো অনেকে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, স্বধীনতার পূর্বে খাদ্য চাহিদা পূরনের নিশ্চতায় তিস্তা বাঁধ ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ১৯৬৭-৬৮ সালে হুকুম দখলে (মৌখিক সম্মতি) ১০৪.২৫ একর জমি অধিগ্রহন করে। বুড়ি তিস্তায় পানি মজুদ রাখার জন্য ১৪ টি জল কপাট বিশিষ্ট একটি ব্যারেজ নির্মান করে মজুদকৃত পানি খরিপ মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁধের দুই প্রান্তে দুটি ক্যানেল খনন করা হয। এবং উল্লেখিত মৌজার কৃষি জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে মর্মে কৃষকদের জানানো হয়। অন্যদিকে ফসল নষ্ট বাবদ পাউবো আংশিকভাবে খোনারতের টাকা পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট টাকা অদ্যবদি পরিশোধ করা হয়নি।
পরবর্তিতে দেশ স্বাধীনের দীর্ঘদিন পর ২০১০ ইং সালের ১৭ই মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ ৪৯২.৭১ হেক্টর পরিমান পৈতিৃক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি মেসার্স তুষুকা নামক ঠিকাদারি রিসোর্স লিমিটেডকে ইজারা দেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে পাউবো থেকে ইজারা নিযে তুষুকা নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলে। আমরা বাধা প্রদান করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকার গরিব নিরিহ অসহায় ৭শত কৃষকের নামে দফায় দফায় কয়েকটি হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জমির প্রকৃত মালিকগণ উচ্চ আদালতের স্বরাণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে তাদের কথিত কার্যক্রম স্থহিত করে দেওয়া হয়। ফলে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপশি জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরনে ভূমিকা রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় নারী-পুরুষ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।