সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
কেন্দুয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে যুবতীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ৭:০৪ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে যুবতীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত অভিযোগের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২ জুলাই) কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক পিপিএম বলেন, অভিযোগটি গত ২৯ জুন তারিখে  পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। 

জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলায় ২০ বছর বয়সী এক যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষণ করে শেখ শাম্মী ওয়াহিদ ওরফে তরিক মিয়া (৩০) নামের এক যুবক। এক পর্যায়ে ওই যুবতী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে কেন্দুয়ার পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে  উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর তরফপাড়া গ্রামে। ভিকটিম যুবক তরিক মিয়া তরফপাড়া গ্রামের শেখ ওয়াহিদের ছেলে এবং ভুক্তভোগী ওই যুবতীও একই গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবতী বাদী হয়ে গত ২৯ জুন রাতে তরিক মিয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, একই গ্রামে বাড়ি হওয়ার সুবাদে তরিক মিয়া ওই যুবতীদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। একপর্যায়ে তরিক যুবতীটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে ওই যুবতী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরইমধ্যে যুবতীটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। কিছুদিন পর পরিবার ওই যুবতীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু তরিক মিয়ার কারণে স্বামীর বাড়ি থেকেও তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসে মেয়েটি।

এদিকে বাবার বাড়িতে থেকে বার বার তরিক মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে যুবতীটি। কিন্তু তরিক তাতে কর্ণপাত না করায় মেয়েটি গত ২১ জুন বিয়ের দাবিতে তরিক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তরিক মিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করে এবং তার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন ২২ জুন সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ভূইয়া ছোটন ওই যুবতীকে উদ্ধার করে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে ২৩ জুন গ্রামে সালিশ বসলে বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হলে মেয়েটি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দুয়া থানায় ২৯ জুন রাতে অভিযোগ দায়ের  করেন। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে তরিক মিয়ার সাথে বার বার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ভূইয়া ছোটন বলেন, বিষয়টি সালিশে মীমাংসার কথা বলে আমি মেয়েটিকে ছেলের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলাম। পরে গ্রামে সালিশও হয়েছে। কিন্তু ছেলেটির স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আর মেয়েটিও তাকেই বিয়ে করতে চায়। তাই বিষয়টি মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত