সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ২৩ জুন ২০২৫
মাদ্রাসার নিজ ক‌ক্ষে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী‌কে বলাৎকার
পটুয়াখালী প্রতি‌নি‌ধি
প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ৩:৩৩ PM
পটুয়াখালীতে প্রথম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলাৎকারের শিকার হ‌য়ে‌ছেন। শহ‌রের শেরেবাংলা সড়‌কের দারুল কুরআন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসানের বিরু‌দ্ধে বলাৎকা‌রের অভি‌যো‌গে ইতিম‌ধ্যে মামলা দা‌য়ে‌রের পর তি‌নিসহ ওই প্রতিষ্ঠা‌নের প্রধান শিক্ষক বর্তমা‌নে আত্ম‌গোপ‌নে র‌য়ে‌ছেন।‌এদি‌কে মামলা দা‌য়ে‌রের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হ‌য়ে ভুক্ত‌ভো‌গি শিক্ষার্থীর অভিবাবক‌কে নানাভা‌বে হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে।
 
এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্ত‌ভো‌গী অভিবাবক।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্ত‌ভো‌গী শিশুর বাবা বলেন, গত ৯ জুন বেলা এগারোটার সময় দারুল কুরআন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার একান্ত রুমে ডেকে নেয়। প‌রে শিক্ষক মাহমুদুল হাসানের পুরুষাঙ্গে তৈল মেখে ওই শিশুকে জোড় পূর্বক ম্যাসেজ করান এবং যৌন কর্ম করেন। পরে ওই শিশু কান্নাকাটি করলে তাকে মারধর করেন শিক্ষক মাহমুদুল হাসান। 

মারধরে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে কোন চিকিৎসা না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মাদ্রাসার পরিচালক আহম্মদ কবির ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান। এমনকি ঐ শিশুর পরিবারকে না জানিয়ে উল্টো কোন কিছু না বলার জন্য শিশুটিকে হুমকি দেয়া হয়।

গত ১২ জুন শিশুটি কোরবানিতে বাড়ি গেলে অসুস্থ হয়ে পরে এবং শিশুটির মা জিগ্যেস করার একপর্যায়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। এদিকে শিশুটির পিতা কর্মস্থলে থাকায় তার মা ১৫ জুন চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির এবং সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে আসামি করে একটি মামলা করেন। যার মামলা নং ৩৫১। 

এঘটনায় গত ১লা জুলাই বিজ্ঞ ট্রাইবুনাল মামলাটি এজাহার হিসাবে নেয়ার জন্য পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে নির্দেশ দেন। এদি‌কে অভিযুক্ত শিক্ষ‌কের খো‌ঁজে ওই প্রতিষ্ঠা‌নে গে‌লে তা‌কে পাওয়া যায়নি। মামলা দা‌য়ে‌রের পর থে‌কে ওই দুই শিক্ষক মাদ্রাসায় অনুপ‌স্থি‌ত ব‌লে জানান আরেক সহকারী শিক্ষক মোঃ জ‌সিম। এমন‌কি তা‌দের ব‌্যবহৃত মোবাইল ফোন দু‌টিও বন্ধ র‌য়ে‌ছে ক‌য়েক‌দিন ধ‌রে।

সদর থানার ও‌সি‌ মোঃ জ‌সিম জানান, তদন্ত ক‌রে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত