শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫ ২০ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫
কুবিতে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষে তিন সাংবাদিক আহত
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ৮:৪৭ PM
সকল চাকরির সকল গ্রেডে ও সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা নিরসনের দাবিতে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তিন সাংবাদিক আহত হন।

আহত সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক আমাদের সময় ও বার্তা২৪-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অনন মজুমদার, চ্যানেল আইয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সৌরভ সিদ্দিকী, ক্যাম্পাস টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আল শাহরিয়ার অন্তু। এছাড়া আরো অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকরা আহত হন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের হয়ে আনসার ক্যাম্পের সামনে গেলে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা। পুলিশি বাঁধা অতিক্রম করার এক পর্যায়ে বাগবিতণ্ডা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের দমাতে লাঠিচার্জ করলে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে আরও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক আমাদের সময় ও বার্তা টুয়েন্টি ফোরের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি অনন মজুমদার বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ফুটেজ নিচ্ছিলাম৷ এসময় আইডি কার্ড থাকা স্বত্ত্বেও আমাদের এক সহকর্মীকে পুলিশ আক্রমন করতে যায়, সেটার ভিডিও ফুটেজ কালেক্ট করছিলাম৷ তখনই পুলিশের ছোঁড়া একটি রাবার বুলেট অথবা টিয়ারশেল আমার মাথায় আঘাত করে।

চ্যানেল আইয়ের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সৌরভ সিদ্দিকী বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিক হিসেবে কোটা বাতিল আন্দোলনের নিউজ কাভার করতে গিয়েছিলাম। রাস্তায় পুলিশের বাধা আসে। সাংবাদিকরা তাদের অবস্থান থেকে ভিডিও করছিলো। হটাৎ পুলিশ লাঠি, ফাকা গুলি, টিয়ার্শেল চালানো শুরু করেছে। এই সময় পুলিশ সাংবাদিক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়েছে। সে অবস্থায় আমি পুলিশের পাশে থেকে ভিডিও করছিলাম হঠাত আমাকে খুব অকথ্য ভাষায় গালি দিতে শুরু করে এক পুলিশ সদস্য। পরবর্তীতে যখন পুলিশ হামলা চালায় তখন আমার মাথার ডান পাশ দিয়ে একটা ফাকাগুলি বা একটা কিছু স্পর্শ করে যায়। মাথায় রক্ত দেখে আমি পরে গিয়েছি। তখন আমাকে ধরার কেউ ছিলো না। একবার মনে হয়েছে এখান থেকে না পালাতে পারলে আমার মৃত্যু হবে৷ তখন আমি রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে কোনোরকমে আসছি৷

ক্যাম্পাস টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আল শাহরিয়ার অন্তু বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও কাঁদুনে গ্যাসে উপস্থিত সাংবাদিকরা দিশেহারা হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত