জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি,ট্রেজারার,রেজিস্ট্রার অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা এবং তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
গত ৭ আগষ্ট থেকে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার সহ তৎকালীন সময়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা সকলের পদত্যাগ ও সকল ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণার দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ, ভিসি বাংলো, প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রেজিস্ট্রার, ট্রেজারারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং আগামীকাল নতুন কর্মসূচি আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় তিন দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বিভিন্ন স্লোগানে দেয় আন্দোলনকারীরা "ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে", "অ্যাকশন অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন" স্লোগানে স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় গত ৭ আগষ্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রশাসনিক কার্যক্রম, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাজু শেখ বলেন, আমাদের দাবিগুলো অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে যাবো।এই স্বৈরাচার ভিসিকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
এ সময় আরেক শিক্ষর্থী বলেন,আমরা একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছি। যত সময় যাচ্ছে আমরা সেশন জটের কবলে পরতেছি।