নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দলপা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার বসত ঘর বীর নিবাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) মধ্যরাতের ওই গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর বসত ঘরে এআগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রামনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর প্রতিবেশী হারেছ উদ্দিন ফকির জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী আগে খুবই অসহায় জীবন যাপন করতেন। আমি তাকে কিছু জমি দান করি। পরে সরকারের পক্ষ থেকে বীর নিবাস বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি বেশ কিছুদিন যাবত বাড়িতে থাকেন না। এরই সুযোগে শুক্রবার মধ্যরাতে কে বা কাহারা বসত ঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়। আমার ধারণা দুর্বৃত্তরা এআগুন দেয়ার ঘটনা ঘটাতে পারে।
পরে অনেক চেষ্টা করে গ্রামবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। কিন্তু এরই মধ্যে বসত ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, কাপড়চোপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরে থাকা বেশ কিছু নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়। আগুনে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলার দলপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন মিয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও দু:খজনক। দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানায়।
কেন্দুয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর বসত ঘর বীর নিবাসে যারা আগুন দিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়,আমরা খবর পেয়ে শনিবার (১৭ আগষ্ট) সকালে রামনগর গ্রামে গিয়ে দেখি এলাকাবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর বসত ঘরটি একতলা বিল্ডিং হওয়ায় ভিতরে থাকা প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কেন্দুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি গতকাল শেষ রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। কে বা কাহারা আগুন লাগিয়েছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।