জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের নাড়িয়ার বাজার এলাকার নবীর উদ্দিন হোসেন নবুদ্দির (৫৮) বিরুদ্ধে ২০ টাকার লোভ দেখিয়ে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মেয়ের চাচা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীর হোসেন নবুদ্দির বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নব উদ্দিন নাড়িয়ার বাজার এলাকার মৃত জাহাম্মদ মোতর মুন্সির ছেলে। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে ধর্ষক নব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ মাস পূর্ব হইতে বিভিন্ন সময় বাদীর বাড়ীতে যাতায়াত করত আসামি । এ সুযোগে আসামি টাকার লোভ দেখিয়ে বাদির ভাতিজিকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে।এবং এ ঘটনা কাওকে বলতে নিষেধ করে।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় গত ২৫ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় বাদির ভাতিজি একা বাড়ীতে থাকার সুযোগে আসামি ঘটনাস্থল আদিতমারী থানাধীন ০৪ নং সারপুকুর ইউপির মুসর দৈলজোড় মৌজাস্থ বাদীর ভাই মোঃ আমিনুর ইসলামের বসতবাড়ীর পূর্ব দূয়ারী শয়ন ঘরে বিছানায় বাদীর ভাতিজিকে টাকার লোভ দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বাদীর ভাতিজিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাইতে নিষেধ করে।
একাধিক বার ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অন্ত:সত্বা হয়ে পরলে অবস্থা বেগতিক দেখে আসামি কৌশলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে মেয়েটির পেটের বাচ্চা নষ্ট করে।যাহার রেজি নং-২৯৭৬২/৮০ তারিখ- ০৭/০৯/২০২৪।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বুলেটিন এর লালমনিরহাট প্রতিনিধিকে ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন,দাদু আমাকে ২০ টাকা দিয়ে বেশ কিছুদিন মেলামেশা করে।আমার পেটে বাচ্চা আসলে আমি পরিবারকে জানাই।
আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ-উন নবী বলেন,অভিযোগ পাওয়া পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে আসামি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।ভিকটিমকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আসামিকে আজ কোর্টে পাঠানো হবে।