চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার একটি মাদ্রাসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে মোঃ সাদেকুল ইসলাম (২৪) নামের মাদ্রাসারই এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭৷
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফ-উল-আলন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, ভিকটিমের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭ এর একটি দল গত ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে শিশু ধর্ষন মামলার আসামি মোঃ সাদেকুল ইসলাম (২৪) কে গ্রেফতার করি৷ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার সিকদারপাড়া এলাকার মোঃ ফরিদুল আলমের ছেলে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ছাত্রটি গত ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের একটি মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করে আসছিল। গত ১৪ অক্টোবর (২০২৪ ইং) মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম ভিকটিমের পিতাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, তার ছেলে গুরুতর অসুস্থ এবং ডাক্তার তাকে বাড়ি নিয়ে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা তার খালাতো ভাইকে ভিকটিমের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মাদ্রসায় পাঠায়। সে মাদ্রাসায় গিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর অসুস্থ দেখতে পায় এবং শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম এর সহযোগিতায় ভিকটিমকে সিএনজি যোগে ভিকটিমের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকে মোঃ সাদেকুল ইসলাম বারবার মোবাইলে ফোন করে ভিকটিম সুস্থ হয়েছে কিনা জানতে চায়।
অসুস্থ ভিকটিম তার পরিবারকে জানায় গত ১৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মোঃ সাদেকুল ইসলাম তার বিছানায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিজ যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের সাথে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়।
শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম ভিকটিম ছাত্রটিকে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে এবং বললে মারধর করবে বলে হুমকি প্রদান করে। জানা গেছে শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম পূর্বেও বিভিন্ন সময় ৮/১০ বার ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে ভিকটিম ছাত্রটি তার পরিবারকে জানায়।
উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোহাম্মদ ফারুখ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় মোঃ সাদেকুল ইসলাম’কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৭, তারিখ- ২১ অক্টোবর ২০২৪ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং-২০২০) এর ৯(১)।