সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মারপিট, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর, লুটপাটের এজাহার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভাইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম।
মামলার আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে এসেই নতুন করে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করছে। বাড়ি ছেড়ে চলে না গেলে পরিবারের সকলকে মেরে ফলারও হুমকি দেওয়ার অভিযাগ করেছেন ভূক্তভোগী স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম খোকন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন উপজলার কায়মপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামে গেলে ভূক্তভাগী স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম এবং তার মেয়ে খুশি খাতুন জানান, চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘদিন বসত বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাইরে থাকার কারণে অরক্ষিত বাড়িটি এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক, নেশাখোর এবং জুয়ারিদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিলো।
এখন চাকুরি থেকে অবসর হওয়ার কারণে বাড়িতে এস অবস্থান করায় এসকল খারাপ প্রকৃতির লোকগুলো বেকায়দায় পড়ে গেছে। তাই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। সেইসাথে বাড়ির চারপাশ টিন দিয়ে ঘেড়া দেওয়ার ফলে অবাদে যত্রতত্র চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় তারা রাস্তা বন্ধ করার ভৌতিক অযুহাত দেখিয়ে ইতিপূর্বে বাড়ির কেয়ারটেকারসহ পরিবারের লোকজনকে মারপিট করছে। সেটা নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ তাদের আটক করলে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
প্রতিনিয়ত প্রতিবেশি আব্দুল মজিদ, সানাউল্লাহ, কালু ফকির, জাহিদুল, মহামসহ বেশ কয়েকজন প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। এদিকে ১৯৮৬ সালে বাড়ি সংলগ্ন ২ শতাংশ জায়গা ক্রয় করলেও সে জায়গার দখল তো দিচ্ছেই না বরং পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র এবং হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে এলাকার অন্যতম প্রধান আকবর আলী এবং সেরাজুল ইসলাম জানান, খোকন মাস্টার দীর্ঘদিন পরে বাড়িতে এসে অবস্থান করার পর থেকেই প্রতিবেশিরা মারপিট, হুমকি ধামকিসহ নানা রকম ভাবে হয়রানি করে চলেছে। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোন বিচার মানে না মজিদ, সানাউল্লাহ গং। এমনকি তারা থানা পুলিশকেও মানে না। কেবল লাঠির জোড়ে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ, সানাউল্লাহ এবং মহামের বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে কল দিলেও বারবার বাড়ির ছোট বাচ্চদের দিয়ে রিসিভ করানোয় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।