জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান সদ্য কারামুক্ত জসিমুদ্দীন রহমানীর ঘেরাওয়ের হুমকির প্রেক্ষিতে দেশের চারটি গণমাধ্যমের সামনে চার ঘণ্টা অবস্থান নিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবশ্য ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়া হলেও কোনো গণমাধ্যমের কার্যালয়ে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওবায়দুর রহমান জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রয়োজনে আবারও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
কালবেলার কার্যালয়ের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা
ডেইলি স্টারের একজন সাংবাদিক জানান, তাদের কার্যালয়ের সামনেও দুপুর একটার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। বিকাল ৫টার দিকে তারা চলে গেছেন।
কালবেলার একজন সাংবাদিক জানান, দুপুর একটার দিকে তাদের নিউমার্কেট এলাকার কার্যালয়ের সামনে পুলিশের একটি জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসেন। বিকাল পাঁচটার দিকে তারা চলে যান। তবে কার্যালয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রাখা হয় জলকামান
সমকাল ও প্রথম আলো পত্রিকাতেও হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম গুলোর সাংবাদিকরা। তবে ঘেরাওয়ের হুমকি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের কারণে চারটি গণমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
প্রথম আলোর অফিসের সামনে সেনাবাহিনীর অবস্থান
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক বলেন, সদ্য কারামুক্ত যে ব্যক্তি এই হুমকি দিয়েছেন, সেই জসিমুদ্দীন রহমানী একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে কারাগারে বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কারামুক্ত হয়ে গণমাধ্যমে হামলা ও ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।
সমকাল ভবনের সামনে পুলিশের কড়া পাহারা
প্রসঙ্গত, দু'দিন আগে ইউটিউবে প্রকাশিত এক ওয়াজ মাহফিলের ভিডিওতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন রহমানিকে ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমের সমালোচনা করতে শোনা যায়।
ওয়াজে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের 'প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি' উল্লেখ করেন এবং প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সমকাল ও কালবেলা পত্রিকাকে তার 'প্রচার সম্পাদক' বলে দাবি করেন। এছাড়া শুক্রবার (আজ) বিকেল ৩টায় দৈনিক কালবেলা কার্যালয় দখলে নেওয়ার কর্মসূচিও ঘোষণা করেন জসিমুদ্দীন রহমানী।