নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপির এক কর্মীর পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির ১০ জনকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মকলেছ মৃধা (৫৫), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন (৪০) ও জাহাগীর মৃধা (৪৫) সহ ২৭ জনের নামে মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি বলেন- ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় ওই মামলাটি করেন আব্দুল হামিদ প্রামাণিক (৬২)। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবকে ওই মামলায় সোমবার ভোরে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে রায়হান নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরিফুল পৌর সদরের গারিষাপাড়া মহল্লার জবতুল্লাহ মিয়া বাটুলের ছেলে ও রায়হান মধ্যমপাড়া মহল্লার লেদু প্রামানিকের ছেলে।
এদিকে রবিবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ ও পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবালুর নেতৃত্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৬ মাস আগে খলিফাপাড়া মহল্লার চাল ব্যাবসায়ী বিএনপি কর্মী রাকিবের কাছ থেকে যুবলীগ নেতা আলমগীর বাঁকিতে চাল নেন। পাওনা টাকা না পাওয়ায় সম্প্রতি থানায় আলমগীরের নামে অভিযোগ দেন রাকিব। এনিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
গত ২৫ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার ফারুক হোসেনের চা স্টলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) চা পান করতে থাকেন। এসময় আসামীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তার ডাক চিৎকারে পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাকিল আহমেদ (২২), জনি আহমেদ (১৫), শামীম আহমেদ (১৮), জাহিদসহ কয়েকজন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মী এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায়। এতে শাকিলসহ ১০ জন গুরুতর আহত হন। তাদের রাজশাহী ও পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন নেওয়া হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মামলা দায়ের পর ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।