ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কূলকাঠি ইউনিয়ন সভাপতি জুলফিকার আলী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ দূর্নীতিসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জুলফিকার আলী বিশ্বাস আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে।
সরকার পতনের পর পরই বিএনপি নেতা হয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদেরকে বিএনপিতে পূরর্বাসন, জুলুম, ঘুষ বানিজ্য, দূর্নীতিসহ শুরু করেছেন নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। সোমবার দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তফা হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মায়েল আহমেদ অভিযোগ করেন, জুলফিকার আলী বিশ্বাস যখন সে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারের স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে দলে যোগদেন। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় আওয়ামী লীগের যোগ দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগ এ যোগদান করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনীত শালিসদার হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
তার অনৈতিক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব ও চেয়ারপার্সনের দৃষ্টি আকর্শন করে আওয়ামী লীগের এই জুলফিকার আলী বিশ্বাসকে জাতীয়তাবাদী দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকেও অবহিত করে ডাক যোগে লিখিত অভেযাগ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সহ সাধারণ সম্পাদক সম্পা বেগম, ক’লকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মায়েল আহমেদ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়ব আলী, যুবদল সভাপতি জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির মল্লিক।
তারা আরো অভিযোগ করেন, তারধারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে বিএনপির সর্বস্থরের নেতাকর্মী। ইতিমধ্যে আমরা কুলকাঠি ইউনিয়ন বিএনপি ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জনাব এ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন এর বরাবরে রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে একটি দরখাস্ত করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনও কোন কার্যকারী ব্যবস্থা করা হয়নি। জুলফিকার বিশ্বাসকে দল থেকে বহিস্কার না করা হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পল্টন অফিসের সামনে যেতে বাধ্য হবো। তাই অনুরোধ এই ফ্যাসিবাদী দোশরকে চিরতরে বহিস্কারের জন্য অনুরোধ করছি।