আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। ফলে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ঐতিহাসিকভাবে প্রত্যাবর্তন করবেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রয়োজন হয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের। সেই ম্যাজিক ফিগার এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনি ম্যাজিক ফিগারের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন। রিপাবলিকান এই প্রার্থী ২৭৭টি এবং ৬০ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ইলেকটোরাল ভোট। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের বিজয় ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার দেশটির ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট পাম বিচে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বিজয় ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
ভাষণের শুরুতে মার্কিন ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ এবং ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অসাধারণ সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমি আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
রিপাবলিকান দলীয় এই প্রার্থী বলেছেন, তিনি পপুলার ভোটও জিতেছেন। যদিও এখনও অনেক অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা চলছে। তারপরও ট্রাম্প এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট জিততে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা আমাদের এক নজিরবিহীন এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।
নিজ দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভ্যান্সের প্রশংসাও করেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, জেডি ভ্যান্স একজন ভালো পছন্দের প্রার্থী। বক্তৃতায় নিজের প্রত্যাবর্তনকে আমেরিকার ইতিহাসের মহান রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এবারের নির্বাচনে শুরু থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে আসছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। মার্কিন এই ধনকুবেরকে ‘‘তারকা’’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইলন মাস্ক একজন তারকা। বিজয়ী ভাষণও এই প্রযুক্তি বিলিওনেয়ারকে উৎসর্গ করে তিনি। মাস্ককে তিনি চমৎকার মানুষ বলেও বর্ণনা করেছেন।
ওয়েস্ট পাম বিচে ভাষণের সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও তার সন্তানরা। ভাষণের সময় ভোটারদের পাশাপাশি স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকেও ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়াটা বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তার সরকারের মূলনীতি হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা।