সরকার ও প্রশাসনের নানান সতর্কবার্তা আর অভিযানের পরেও চট্টগ্রামে অন্যতম বড় আলুর পাইকারী আড়ত গুলোতে মূল্য তালিকার দেখা মেলেনা। অনেক আড়তে ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ কিংবা ভাউচার সংরক্ষণ না করেই চলছে আলুর কেনা-বেচা৷
বরাবরের মতন অভিযানে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৬ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে৷ তবে সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, আলুর পাইকাররা সিন্ডিকেট করে যেখানে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে সেখানে মাত্র কয়েক হাজার টাকা জরিমানা অনেকটা "গুরু পাপে লঘু দন্ডের মতন"।
সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় কর্তৃক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিমের সমন্বয়ে চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় পাইকারি মূল্যে আলু বিক্রয়কারী বিভিন্ন আড়তে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বাজার তদারকিকালে মেসার্স আকবর ট্রেডার্স এ মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয় ভাউচার না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৮ হাজার টাকা, মেসার্স দাউদকান্দি বাণিজ্যালয় এ মূল্য তালিকা হালনাগাদ না করা ও বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ৬ হাজার টাকা, মেসার্স আসিফ ট্রেডার্স এ মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে আলু বিক্রয় ও ক্রয় এবং বিক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
আজকের অভিযানে এই ৩টি প্রতিষ্ঠানে মোট ২৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ এবং তা আদায় করে ভবিষ্যতে যেন একই অপরাধ সংগঠিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও উক্ত বাজার কমিটির বিভিন্ন দায়িত্বশীল সদস্যদের সাথে এ সমস্ত বিষয়গুলোতে পরবর্তীতে আরো সচেতন থাকার বিষয়ে মতবিনিময় হয় বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক নল নাসরিন আক্তার৷
অভিযানে থাকা সহকারী পরিচালক মো: আনিছুর রহমান বলেছেন, জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।