প্রেমিকার দ্বিতীয় প্রেমিকের বাসার মাটি খুঁড়ে প্রথম প্রেমিকের লাশ উদ্ধার
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৪৪ PM
নিখোঁজের সাত দিন পর শেরপুরে ‘প্রেমে রাজি না হওয়া’ নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেপ্তার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়ায় ওই তরুণী। তাই প্রথম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে দ্বিতীয় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। যদিও পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
সোমবার রাতে শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম সুমন (১৭)। তিনি শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। সুমন শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
ত্রিভুজ প্রেমের বলি হলেন সুমন
এর আগে, ওই কলেজছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে এক তরুণী ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ গ্রেপ্তার তরুণী কয়েকজন যুবককে দিয়ে ওই তরুণকে অপহরণ করিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ওই তরুণ।। পরদিন পাঁচ নভেম্বর বাবার দায়ের করা অভিযোগটি সদর থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এজাহারে তরুণীর বাবাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। রোববার রাতে তরুণী ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় ওই যুগল। ওই তরুণী শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গ্রেপ্তার আছেন।
সূত্র জানায়, সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও অপর বন্ধুর সঙ্গে প্রেমে মজেন ওই তরুণী। তাই চার নভেম্বর সুমনকে সরিয়ে দিতে বিয়ের কথা বলে নতুন প্রেমিকের বাড়িতে ডেকে নেন ওই তরুণী। এরপর তাকে হত্যা করে রবিনের বাড়ির উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে।
সুমন বাড়ি না আসায় স্বজনরা সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে ওই তরুণী ও তার মা-বাবাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে। সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হন ওই তরুণী ও তার বাবা। পরে তরুণীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিককে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে তার বাড়ির আঙ্গিনায় মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।