ঢাকায় আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দিতে প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ্মীপুরের গ্রামীণ নারী-পুরুষদের নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে একটি চক্র।
‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে, প্রতি ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হবে। তাদের এই প্রলোভনে সাড়া দিয়ে মধ্যরাত থেকে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, পিক-আপ ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আসতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং শাহবাগ এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম ঘটানোর চেষ্টা করা হয়, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষার্থীরা তাদের সরিয়ে দেয়। সংগঠনটি আরও দাবি করেছিল যে, সমাবেশে যোগ দিতে গেলে তাদের কাছে এক হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।
একাধিক স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরো বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে। একটি বাসের চালক মো. সোহেল জানান, আলমগীর ও সিরাজ নামে দুই ব্যক্তি তাদের বাস ভাড়া করেছিলেন, কিন্তু তারা গাড়ি থেকে সটকে পড়েন।
এছাড়া, ছোট শিশু কোলে নিয়ে এক নারী জানান, তিনি ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা শাহবাগের সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছেন, যেখানে তারা দাবি করবেন যে, দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রস্তাব দেবেন। এই অর্থ থেকে তারা গ্রামের নারী-পুরুষদের এক লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছেন।
বাসে করে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ লোকজনেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছে। তাদের বেশিরভাগই জানে না এখানে কি হবে। শুধু জানে শাহবাগে আসলে লোন পাওয়া যাবে।
লোক ফেরাতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা আর পুলিশ প্রশাসন কি করে? আমরা শুনেছি, ঢাকা শহরে গতরাত থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৮০০ বাস প্রবেশ করেছে। শাহবাগে আন্দোলন করার জন্য বাস ভর্তি লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসি থেকেই প্রায় শতাধিক গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছি।