মগবাজারে একটি হোটেলের রুম থেকে এক পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে ডিএমপি রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা মনির হোসেন, তার স্ত্রী স্বপ্না ও তাদের ছেলে আরাফাত হোসেন নাইম।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে মগবাজার সুইট স্লিপ হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, মৃতরা হলেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা ছেলের চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকা এসেছিলেন এবং মগবাজারের ওই হোটেলে ওঠেন। তবে ওইদিন তারা ডাক্তার দেখাতে পারেননি। রাতের খাবার হিসেবে মগবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে হোটেলেই খেয়েছিলেন।
পরে রাতেই তিনজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার দুপুরে তাদের অচেতন অবস্থায় মগবাজারের আ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তারা মারা গেছেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, খাবারে বিষক্রিয়াই হতে পারে মৃত্যুর কারণ। তবে বিস্তারিত জানার জন্য মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং হোটেল ও সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপি রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য তারা মারা যেতে পারেন। তবে সঠিক কারণ জানতে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসা নিতে গতকাল লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় আসে পরিবারটি। চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেয়ে হোটেলে রাত্রি যাপন করেন তারা। আজ সকালে মনির হোসেন তার স্বজনদের ফোন করে জানান যে, তারা তিনজন অসুস্থ বোধ করছেন ও বমি করছেন।