পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেটের সামনে একটি ভাস্কর্য ছিল যেখানে- পরম মমতায় একজন রোগীকে কোলে নিয়ে রেখেছেন একজন চিকিৎসক। সেই ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুরের পর ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে তাদের উল্লাস করতেও দেখা গেছে।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ এনে হাসপাতাল ও কলেজে হামলা চালায় ১৪ কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাসপাতালের সামনে থাকা ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে তারা। উল্লাস করে ছবিও তোলে। শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ভাস্কর্যের মুখে কালো কালি দিয়ে ক্রস চিহ্নও দিয়ে দেয়।
কবির হোসেন নামে এক সিকিউরিটি ইনচার্জ বলেন, ১৬ বছর ধরে চাকরি করি। এমন ঘটনা আগে দেখিনি। ভাস্কর্যটাও ভেঙে ফেলেছে। কী তাণ্ডবটাই না চালিয়েছে। হাসপাতাল ও কলেজের ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।
ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে ছবি তোলা নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে সেলফি তুলেছি। স্টুডেন্টদের মারছে, এটার প্রতিশোধ নিয়েছি।