ইসকনের হাতে চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ জুম্মা কালীগঞ্জ আর.আর. এন. পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসকে (ইসকন) জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয় স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে নাক না গলানোর আহ্বানও জানানো হয়। পাশাপাশি ইসকন নিষিদ্ধের দাবি করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, হাসিবুল হাসান রিমন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যে কোন ধরনের উগ্রবাদই জঙ্গি। জঙ্গি লেবাস, বক্তব্যে হয় না; জঙ্গি হয় মননে, বিশ্বাস ও কর্মে। বাংলাদেশে যারাই উগ্রবাদী করবে তারাই জঙ্গি। আমাদের দেশে উগ্রবাদী হাতে প্রথম নিহত হলেন আলিফ। সরকার এখনো জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেনি, বিচার শুরু করেনি। গ্রেফতার করলে আজকে চট্টগ্রামে নাসিরের লোকজন ইস্কনের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করতে পারত না।
বক্তারা আরো বলেন, ভারতের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে কিন্তু একমাত্র বিজেপি সরকার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করে চলছে। ভারতকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গদি বাঁচান; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নাই। বাংলাদেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। ইস্কনকে একটি শুধু কড়া সনাতনী সংগঠন হিসেবে প্রচার করার কারণেই আজকে এই পরিস্থিতি। ইস্কন তার শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা-ঢাকা ঢাকা’, ‘ইস্কন তুই জঙ্গি-স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘আপোস না সংগ্রাম- সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘জঙ্গিবাদের কালোহাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশ শেষে আইনজীবী আলিফের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সম্প্রীতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।