অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা বর্ণনা দিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেছেন, সুদহার ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ফলে কমছে চাহিদা। জ্বালানি দাম বৃদ্ধি পেলে ব্যাহত হবে শিল্প উৎপাদন।ধারাবাহিকভাবে কমছে শিল্প উৎপাদন। পিছু ছাড়ছে না অনিশ্চয়তা।
আজ (শনিবার) রাজধানীর তেজগাঁও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিসিআই।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিআই সভাপতি আরো বলেন, ‘আইএমএফের প্রেসক্রিপশন মেনে চলছে সরকার, এতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া স্বস্তি ফিরবে না। ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত অন্তর্বর্তী সরকারের।
আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম সব ধরনের সংস্কার করার পাশাপাশি নিয়মিত অর্থনীতির চাকা ক্ষতিগ্রস্ত না করার উপায় বের করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে অন্তবর্তী সরকার। যাতে কর্মসংস্থান ধরে রাখা যায়। উৎপাদন খরচ সহনীয় পর্যায়ে থাকে মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করে।
সুদহার বাড়ানো হচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানো ও ঋণ শ্রেণিকরণের মেয়াদ ৬ মাস থেকে কমিয়ে ৩ মাসে নিয়ে আসার মত পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আবার যখন উপদেষ্টা গভর্নরের পক্ষ থেকে বলা হয়, দাম বাড়বে না, শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শিল্প উদ্যোক্তাদের খুবই চিন্তিত করে। যদি দেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে ভয় পায়, তাহলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কিভাবে আসবে।