সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাদা কাপড়ে মোড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতের আঁধারে ম্যুরালটি ভাঙা হয়।
সিলেটের আলেম-সমাজ ও তৌহিদী জনতা শুক্রবার বাদ জুমা সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে তৌহিদী কাফেলার উপদেষ্টা সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালি, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মহানগর কওমী মাদ্রাসার ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ সহ অনেকে বক্তব্য দেন।
সভা থেকে মাইকে জানানো হয়- আলেম-সমাজ ও তৌহিদী জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে ‘প্রশাসনের উদ্যোগে’ ম্যুরালটি ভাঙা হয়েছে।
তৌহিদী কাফেলার আহ্বায়ক মাওলানা মুশতাক আহমদ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেরিতে হলেও জেলা প্রশাসকের বোধগম্য হয়েছে, তিনি ম্যুরাল অপসারণ করেছেন। এই আন্দোলন শুধু একটা ম্যুরালের বিরুদ্ধে নয়, মূর্তি-ভাস্কর্যে সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। সিলেটের ভূমিতে কোনো ধরনের ভাস্কর্য মেনে নেওয়া হবে না।
তাদের এই দাবির প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, “আমিও শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কেউ আমার কাছে আসেনি।’’
সমাবেশে বক্তারা সিলেটের আরও কয়েকটি স্থানের ভাস্কর্য অতিদ্রুত অপসারণ করার দাবি তোলেন। অন্যথায় তৌহিদী কাফেলা কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি আসে সমাবেশ থেকে।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল সরানোর দাবি উঠেছিল। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তীতে সমাবেশ থেকে সিলেট নগরের জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ম্যুরালটি সরিয়ে নেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।