ধামরাইয়ে আলাদীন’স পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্রে ঢাকার মিরপুরের বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। গতকাল রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের সীতি এলাকার আলাদীন্’স পার্কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে কলেজের শিক্ষক মো. আব্দুল হাই বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. রাকিব (২৩), অন্তর (১৮), মো. সুমন (৩১), মো. রানা (২৩)। তারা সবাই ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সীতি এলাকার বাসিন্দা।
এছাড়া মামলার আসামীরা হলেন, আলাদীন্’স পার্কের মালিকের ছেলে রিফাত মাহমুদ (৩৫), পার্কের ব্যবস্থাপক নকিবুল রনি (৪৮), মালিক আলাউদ্দিন (৫৭), পার্কে কর্মরত আবুল কালাম আজাদ (৩৫) । এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২৫-৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের শিক্ষক মো. আব্দুল হাই বলেন, আলাদীনস পার্কের লোকজন আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তারা কাঠের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা শিক্ষাক্ষীদের উপর হামলা চালালে কয়েকজন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন।
তিনি বলেন, আহতদের ধামরাই ও সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এইচ এসসি পরীক্ষার্থী জাকারিয়া সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেলে এখনো ভর্তি রয়েছে। সে হাতে মারাত্বক আঘাত পয়েছে। একই শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাতকে আজকে এনাম মেডিকেল থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। সে মাথায় মারাত্বকভাবে আঘাত পেয়েছেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতেই একজন শিক্ষক ৪জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ২৫-৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে ধামরাইয়ের উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের সিতী পাল্লী এলাকায় আলাদীনস পার্কে কয়েক শিক্ষার্থীর মুঠোফোন হারানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে পার্র লোকজন ও ঢাকার মিরপুরের বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।