মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
‘তৌহিদী জনতার’ আপত্তিতে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা স্টল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৩ PM আপডেট: ১৬.০২.২০২৫ ৬:৫৪ PM
স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদর্শন ও বিক্রি করায় অমর একুশে বইমেলায় বরাদ্দকৃত দুইটি স্টল বন্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এক ‘ইসলামিস্ট’ গ্রুপের আপত্তি ও মব সংস্কৃতির ভয়ে স্টল দুইটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় মেলা আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমি।

স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও নারীদের দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যের স্টল হুমকির মুখে বন্ধ রাখায় বাংলা একাডেমির সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। 

আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, স্টল দুটি কালো কাপড় দিয়ে আবৃত। প্রাণ আরএফএল গ্রুপের নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য ব্রান্ড স্টে-সেইফ বইমেলা প্রাঙ্গণে দুটি স্টল পরিচালনা করে আসছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে। 

মেলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ড্রিমার ডংকি প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। 

চিঠিতে তিনি লিখেন, প্রথম দিকে কোনো সমস্যা না থাকলেও ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বেশ কিছু ইসলামিস্ট গ্রুপ ন্যাপকিনকে ‘গোপন পণ্য’ বলে আখ্যা দেয় এবং এর প্রকাশ্য প্রদর্শনী বা বিক্রি বন্ধে দাবি জানায়। এরপর দিন আরো অনেক মানুষ প্রায় একই দাবি নিয়ে হাজির হয়। পরে বাংলা একাডেমি, পুলিশ, আনসার সহ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি ঠান্ডা করা হয়।
গত ক'বছর ধরেই বইমেলায় নারীদের ইমার্জেন্সির জন্য রাখা হচ্ছিল স্যানিটারি ন্যাপকিন

গত ক'বছর ধরেই বইমেলায় নারীদের ইমার্জেন্সির জন্য রাখা হচ্ছিল স্যানিটারি ন্যাপকিন

আরও উল্লেখ করা হয়, ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টল দুটি খুলে দিলে কিছু গ্রুপ সরাসরি এসে বাংলা একাডেমিতে অভিযোগ করে। এ দেশে এই মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গায় মব হচ্ছে এসব বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে। এ ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য উক্ত স্টল দুটি বন্ধ করা অত্যাবশ্যকীয়। আপনাদের ব্যবসায়িক স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে স্টল দুটি অন্য পণ্য (যেমন- শিশু শিক্ষা সরঞ্জাম) দিয়ে প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

যোগাযোগ করা হলে বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক আজম বলেন, মেলায় খাবার দোকান এবং পানীয় ছাড়া অন্য যেকোনো জিনিসপত্র বিক্রি করায় আমাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল। আমাদের সাথে আলাপ না করে আমাদের ইভেন্ট ম্যানেজার এই দোকানগুলো করেছে। ফলে আমরা এই দোকানগুলো এমনিতেই বন্ধ করে দিতাম। একটা বিশেষ পণ্যের (ন্যাপকিন) সাথে এর সম্পর্ক নেই। 

যদি খাবার দোকান এবং কোমল পানীয় ছাড়া অন্যকিছু বিক্রি না যায়, তাহলে চিঠিতে কেন শিশু শিক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে পুনঃস্থাপন করার কথা বলা হলো? - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিশু কর্নার একটা স্টল আছে। সেটার জন্য বলেছি। কিন্তু তারা সেখানে পেস্ট-ব্রাশ এগুলোও রাখায় আমরা সেটা ক্যান্সেল করেছি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত