লাকসাম উপজেলায় প্রেমিকের খোঁজে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। গত সোমবার রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার তরুণী মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এবং লাকসামের ফতেহপুর এলাকার একটি বিড়ি কারখানায় কাজ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লাকসাম উপজেলার বড়তোপা গ্রামের মো. সাগর (২৬), লাকসাম পৌর এলাকার পেয়ারাপুর এলাকার এনায়েতুর রহমান সাক্কু (১৯), কিশোরগঞ্জ জেলার পাকন্দিয়া উপজেলার চর-কাউনা গ্রামের স্বপন মিয়া (২১)।
ভুক্তভোগীর পরিবারসূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ‘রিফাত’ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। ভুক্তভোগী তরুণী তার প্রেমিককে খুঁজতে লাকসাম বাজারে যান। এসময় এনায়েত রহমান সাক্কু নামে এক অটোচালকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে ওই তরুণী সাক্কুকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিককে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে না পেয়ে রাত ১০টার দিকে তারা লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনে যান।
সেখানে তিন যুবক তাদের উত্যক্ত করলে সাক্কু নিজেকে ওই তরুণীর স্বামী পরিচয় দেন। এরপর যুবকরা সাক্কু ও তরুণীকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রেলস্টেশনে বসিয়ে রাখেন।
একপর্যায়ে সাক্কু ওই যুবকদের জানান, তিনি তরুণীর কেউ নন। পরে সাক্কুসহ তিন যুবক তরুণীকে সেখান থেকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান তরুণী।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই সোমবার (১৬ জুন) রাতে চারজনকে আসামি করে লাকসাম থানায় মামলা করে।
এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাক্কু, সাগর ও স্বপনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে তরুণীর মামাতো ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।