জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং সেই আদেশের ওপর জাতীয় গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই আসছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। স্লোগান, ব্যানার আর পতাকায় পুরো এলাকা এখন পরিণত হয়েছে বিশাল জনসমুদ্রে।
এদিকে দুপুরের আগে থেকেই জনস্রোতে ভরে উঠতে থাকে পল্টন এলাকা। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। মিছিল-স্লোগান মুখর পুরো এলাকা, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কর, গণভোটের তারিখ দাও’, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই’ এমন সব ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো পল্টন মোড়।
পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে আসছেন জামায়াত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা আট রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনরত আটটি দল হলো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।
গত ৩০ অক্টোবর আট দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট আয়োজনসহ তাদের সকল দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
সে সময় তারা আরও জানান, দাবি মানা না হলে ১১ নভেম্বর তারা একটি গণসমাবেশ করবে।
জামায়াতসহ আটটি সমমনা রাজনৈতিক দল কয়েক মাস ধরে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আট দলীয় জোটের পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন; ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ; ৪. পূর্ববর্তী সরকারের 'জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার' দৃশ্যমান করা; এবং ৫. 'স্বৈরাচারের দোসর' জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।