মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ ২৭ কার্তিক ১৪৩২
মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫
৬০ হাজার ইয়াবাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ PM
চট্টগ্রামের পটিয়ায় র‍্যাবের এক বিশেষ অভিযানে ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও সরকারি সরঞ্জামসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খরনা এলাকায় কাদের এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সামনে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

গ্রেপ্তার কর্মকর্তার নাম মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪১)। তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ‘খ’ সার্কেলের পটিয়া মুজাফ্ফরাবাদ কার্যালয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়; পিতা মো. আবদুল মতিন।

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়-কক্সবাজার থেকে দুটি মাইক্রোবাসে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি চট্টগ্রামের দিকে আনা হচ্ছে। খবর পেয়ে র‍্যাব সদস্যরা দ্রুত তল্লাশিচৌকি বসান। তল্লাশিচৌকি দেখে মাইক্রোবাস দুটি পালানোর চেষ্টা করলে একটি আটক করা হয়, পরে দ্বিতীয়টিও ধরা পড়ে।

তল্লাশিতে এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুনের প্যান্টের পকেট থেকে ১০টি ইয়াবা বড়ি, একটি ওয়াকিটকি সেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত কোট ও ক্যাপ এবং ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। অপর মাইক্রোবাসের চালকের আসনের নিচ থেকে উদ্ধার হয় আরও ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অভিযানে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. ফিরোজের ছেলে মো. মাঈনুদ্দীন (৩০), চট্টগ্রাম পটিয়া পৌরসভার পূর্ব হাবিবুরপাড়ার মো. রাশেদুল আলম (৩৮), একই পৌরসভার আল্লাই এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (৪১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মো. জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯)।

এ ছাড়া অভিযানের সময় একটি মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যায়। তাকে মামলার পলাতক আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান জানান, ঘটনাটির পরদিন (রবিবার) থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ডিএনসি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া দুটি মাইক্রোবাসের মধ্যে একটি আবদুল্লাহ আল মামুনের নামে নিবন্ধিত। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পরিচয় ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার গভীরে তদন্ত চলছে এবং গ্রেপ্তার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার এ ঘটনায় জড়িত থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও অবহিত করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত