মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। গভীর রাতে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টুইন্নাকান্দি গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মতি মিয়া (৬৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বড়োহাটি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়া (২৭)-কে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মতি মিয়া ও তার ছেলে ফারুক জীবিকার তাগিদে শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় কৃষিকাজ ও দিনমজুরির জন্য বসবাস শুরু করেন। রবিবার গভীর রাতে মতি মিয়া ঘুমিয়ে পড়লে ফারুক একটি দেশীয় অস্ত্র (কোদাল) দিয়ে তার মাথা ও শরীরের ওপরের অংশে একাধিক আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মতি মিয়ার নিথর দেহ দেখতে পান। এ সময় পালানোর চেষ্টা না করে ঘটনাস্থলেই হত্যার দায় স্বীকার করেন ফারুক।
পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে শিবচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ফারুককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ফারুককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানান, তার বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। তিনি অভিযোগ করেন, তার বাবা নিয়মিত তাকে ‘ওষুধ খাইয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলার’ চেষ্টা করতেন। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন ফারুক।