সরেজমিনে দেখা যায়, খেজুরডাঙ্গা গ্রামের খাল সংলগ্ন এলাকায় ৪০ শিক্ষার্থীর জন্য ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সালেহা এন্টারপ্রাইজ ২০২৪ সালের ১ মে থেকে কাজ শুরু করলেও, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান এখনো নিচু একটি টিনের ঘরে হচ্ছে, যেখানে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নেই। উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনের নির্মাণে নিম্নমানের ইট, রড, বালি ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। ছাদের একাধিক স্থানে লিংটন এবং ঢালাইয়ের রড বের হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় তদারকি কম হওয়ায় ঠিকাদার ইচ্ছে মতো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। এছাড়া, ১নং ইট না এনে দূরের অন্য উপজেলা থেকে ভিন্ন ধরনের ইট আনা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইন বলেন, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো ফল পাননি। ঠিকাদার আবুল কালাম জানান, বছরের শেষ দিকে ভালো ইট পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্যদেব সরকার বলেন, ছাদ ঢালাইয়ের সময় ভাইব্রেটর মেশিন ঠিকভাবে কাজ করেনি, তাই কিছু সমস্যা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও সচেতন মহল দাবি করেছেন, উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে।