চাঁদপুরে মতলব উত্তর থানার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের গোপালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি পুকুর থেকে গত ১১ জুলাই উদ্ধার করা হয় হাবিবউল্লাহ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ। এই ঘটনার ২১ ঘণ্টার মধ্যে আজ রবিবার অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করা হয় অভিযুক্ত কামাল মিয়াকে।
বিয়ে করা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এই হত্যাকাণ্ড। পুলিশের হাতে আটক কামাল মিয়া স্বীকার করে বলেন, হাবিবউল্লাহ দুই দফায় তার কাছ থেকে মোট ১০ হাজার টাকা নেন। তাকে বিয়ে করাবে বলে টাকা নেয় হাবিব। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে মতলব উত্তরে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান হাবিবউল্লাহ। কিন্তু কনে না দেখিয়ে টালবাহানা করেন।
একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে হাবিবউল্লাহ কামাল মিয়ার হাতের আঙুল কামড়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিবউল্লাহর অন্ডকোষ চেপে ধরেন তিনি। একপর্যায়ে মৃত্যু হলে পুকুরের পানিতে মরদেহ ফেলে গা ঢাকা দেয় কামাল মিরা।
পেশায় নারায়ণগঞ্জের একটি ছাপাখানার কর্মচারী কামাল মিয়ার বাড়ি বরিশালের চরমোনাইয়ের রাজারচর গ্রামে। তার বাবার নাম খালেক মিরা (৫৬)। আর ঘটনার শিকার হাবিবউল্লাহর (৫০) বাড়ি নারায়নগঞ্জের পূর্ব মদনপুরে। পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন তিনি। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আলোচিত এই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রবিবার দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পুকুরে ভাসমান মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হলেও পরে সেখানে থাকা একটি মুঠোফোনের সূত্র ধরেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে।
পুলিশ সুপার বলেন, কামাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী চলে যান। তারপর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য ঘটক ধরেন হাবিবউল্লাহকে। এতে কনে খুঁজে দেওয়ার জন্য প্রথমে ৬ হাজার এবং পরে আরও ৪ হাজার টাকা নেন হাবিবউল্লাহ। একপর্যায়ে মতলব উত্তরে তার শ্বশুর বাড়িতে কনে পাওয়া গেছে। এমন কথা বলে নারায়ণগঞ্জ থেকে কামাল মিয়াকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যান হাবিবউল্লাহ।
কিন্তু সেখানে কনে না দেখতে পেয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে হাতাহাতি এবং মারামারি হয়। একপর্যায়ে হাবিবউল্লাহ কামাল মিরার হাতের আঙুল কামড়ে দেয়। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল মিয়া হাবিবউল্লাহর অন্ডকোষ চেপে ধরেন। এতে মৃত্যু হয় হাবিবউল্লাহর।