ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যাওয়া এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ জুলাই বিকেলে রংপুরের পীরগাছায় উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রতিপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা মজনু মিয়াকে (৩৫) অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, তার স্বামী ও ভাসুর অটোভ্যান চালক হওয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় বাড়ির বাহিরে থাকেন। ফলে তিনি ও তার বড় জা মিলে সংসার পরিচালনা করেন। প্রায় এক মাস আগে অভিযুক্ত মজনু মিয়া তাকে একা পেয়ে বাড়িতে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করে স্বামীকে জানালে তার স্বামী মজনুকে সতর্ক করেন।
এরপর গত ১৩ জুলাই বিকেলে তিনি বাড়ির পাশে বুড়াল নদীর তীরে ঘাস কাটতে গেলে মজনু মিয়া আবারও কুপ্রস্তাব দেন। তিনি সেটি আবারও প্রত্যাখ্যান করলে তিনি তাকে টানাহেঁচড়া করে ঘাসক্ষেতের ভেতরে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল করিম মাস্টার, মোক্তার মাস্টার ও আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রথমে বিষয়টি সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে কিছুদিন পর তারা জানান, তারা এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না।
অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালীরা তাকে চুপ থেকে আপসের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে সময়ক্ষেপণ করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, আমি ন্যায়বিচারের আশায় প্রথমে গ্রামের বড়দের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তারাই উল্টো সময় নষ্ট করল। এখন আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।