রায়পুরার আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল মিয়াকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান বিষয়ে আজ মঙ্গলবার রায়পুরা থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন নরসিংদী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান।
ব্রিফিং শেষে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ও মালামাল সহ সন্ত্রাসী সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল সোমবার।
ব্রিফিংয়ে এসপি আব্দুল হান্নান বলেন, গত সোমবার ভোররাত হতে রায়পুরা থানাধীন শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হানিফ মাস্টার গ্রুপ এবং এরশাদ গ্রুপ এর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় মোমেনা বেগম (৪৫), স্বামী-আক্তার হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় আরো তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাব এর সমন্বয়ে এই ঘটনাসহ এই এলাকার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে রায়পুরা থানাধীন শ্রীনগর বাজারঘাট থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদী থেকে শ্রীনগর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল মিয়াকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ১ টি এসবিবিএল একনালা বন্ধুক, ৪ টি একনালা দেশীয় তৈরী বন্ধুক, ২ টি সিলভার কালারের ম্যাগজিন,৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি,৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি,১২ টি শর্টগানের শীসা কাতুর্জ,২ টি symphony বাটন ফোন, ১টি oppo এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন,১,৫৫০ টাকা, এক ইউএস ডলার এবং ১ টি পালসার মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন ৫৬ ইবি, নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের মেজর ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ আসাদ, পুলিশের নেতৃত্ব দেন বায়েজিদ বিন মনসুর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, রায়পুরা সার্কেল, নরসিংদী এবং র্যাব এর নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা, পিপিএম-সেবা, ক্যাম্প কমান্ডার, নরসিংদী র্যাব ক্যাম্প।
উল্লেখ্য, শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে ৪ টি হত্যা মামলা, ২ টি অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরো ০৬ টি মামলাসহ সর্বমোট ১২ টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার আরও বলেন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে এ ধরনের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও চরের ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন থানা হলে এবং মেঘনা নদীতে ব্রিজ নির্মত হলে চরাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আরো সহজতর হবে।