কুষ্টিয়ায় পৃথক স্থান থেকে দুই নারী ও ও এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার কোটপাড়ার বারো শরিফ দরবার এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক নারী, মিরপুর উপজেলার হাসপাতালের পাশের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে অজ্ঞাত আরেকজন নারী এবং সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিয়ামের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর আদেরপাড়ার সাইদুরের ছেলে। তবে এখন পর্যন্ত অপর দুই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, আজ সকাল ১০টার স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিত্বে ঘটনাস্থল থেকে এক নারী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওসি মোশারফ আরও বলেন, পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বার্তা পাঠানো হয়েছে এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে আজ বেলা সাড়ে ১১দিকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজের পেছন থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আরও এক নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিত্বে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজের পেছন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় এবং কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।
এলাকাসীর দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, গত ৬ মাস আগে বিয়ে করেছিল একই এলাকার সিয়াম ও সুমাইয়া। ছেলের পরিবার মেনে নেলেও এ বিয়ে মানতে পারিনি সুমাইয়ার বাবা হান্নান। তিন দিন আগে মেয়েকে দিয়ে ডিভোর্স করিয়ে দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার ডিভোর্স পেপারের বিষয়ে নিশ্চিত হয় সিয়াম ও তার পরিবার। স্ত্রী সুমাইয়াকে হারনোর বেদনা সইতে না পেরে বুধবার চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফ দেয় সিয়াম। মুহুর্তেই তার শরীর ছিন্নবিছিন্ন হয়ে যায়। রেলের পাশে পড়ে থাকে নিথর দেহ। প্রথমে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। পরে জানতে পারে সিয়াম খাজানগর আদেরপাড়ার সাইদুরের ছেলে।