থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। এরই মধ্যে রাঙামাটি সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও কাপ্তাই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, রূপকারী ইউনিয়ন, মাস্টারপাড়া, মধ্যম পাড়া, হাজী পাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, এফ ব্লক, বটতলী, আমতলী ইউনিয়ন হ্রদের জলে ডুবে গেছে। বাঘাছড়বতে ৮টি ইউনিয়ন, লংগদু উপজেলার বগাচতর, গুলশাখালী, বরকল উপজেলার সদর ও রাঙ্গামাটি সদরের আসামবস্তি মালিপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
বিলাইড়ি উপজেলা সদর, ধূপ্পারছড়, বহলতলী, বাঙ্গালকাটা এলাকাসহ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে হ্রদের পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে পানি যে ভাবে বাড়ছে যেকোন মুহুর্তে এই উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, গতকাল রাত পর্যন্ত জেলার বাঘাইছড়ি ও লংগদুতে ১৮২টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জেলায় ২৪৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
৩ ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট। অনেক এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ।
তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও আশ্রয়কেন্দ্র।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৩ ফুট খুলে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এটি বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন বাঁধ কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য প্রশাসন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বন্যার্তদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান।