খুলনা জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে ফের আটক হওয়া খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান মিজানকে আরো একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি সব মামলায় জামিন পেয়ে খুলনা জেলা কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই মহানগর ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
জানতে চাইলে ডিবির ওসি তৈমুর ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বিকাল ৫ টায় খুলনা সদর খানাধীন রয়েল মোড়স্থ ফ্যাশান জোন বাই লিন্ডা নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন, ভাংচুর, লুটপাট ও ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চলতি বছরের গত ১৮ মার্চ খুলনা থানায় মামলা দায়ের হয়। এ মামলার মিজানুর রহমান মিজান সন্দিগ্ধ আসামি।
এছাড়া মিজানের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানার এফআইআর নং-১৯, তারিখ-১৩ জুলাই, ২০০৯: ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ এবং সোনাডাঙ্গা থানার এফআইআর নং-০৬, ২৭ আগস্ট, ২০২৪ মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলায় তাকে আটকাদেশের আবেদন করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মোঃ আনিসুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে আদালত আবেদন গ্রহণ পূর্বক মিজানুর রহমান মিজানকে জেল হাজতে পাটানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে জামিন পাওয়ার পর জেল গেট থেকে বার বার গ্রেপ্তার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিজানের পরিবার। মিজানের ছোট বোন আ্যাডভোকেট সুলতানা রহমান শিল্পী বলেন, ‘আমার ভাই অপরাধী হলে আদালতের মাধ্যমে সুরাহা হোক। কিন্তু একের পর এক মামলায় জামিন হওয়ার পর জেল গেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নতুন নতুন মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে। আমার ভাই অসুস্থ- তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু একাধিক মামলায় জামিন পেয়েও তিনি বাড়ীতে ফিরতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেওয়া হচ্ছে তার একটিতেও তিনি এজাহার নামীয় আসামি নন। কিন্তু প্রতিটি মামলায়ই তাকে সন্দিগ্ধ আসামি করা হচ্ছে। যা দুখঃজনক।
উল্লেখ্য জ্ঞাত আয় বহিভুত সম্পদ অর্জন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ বছরের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক তাকে ৮ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় ৪ টি মামলা রয়েছে। গেল বছরের ২৮ জুলাই একদফা দাবি আন্দোলন চলাকালীন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট মামলায় তাকে ২৯ মে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় জামিন পেয়ে গতকাল বুধবার তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।