সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আজকে চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার।তাদের মনোভাব, ৭১ যেন হয়নি, এই দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কোন অবদান রাখেনি। ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানে তারা সবকিছু করেছে তারা এমন ধারণা দিচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা চলতেছে। গ্রাস করার চেষ্টা চলতেছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে বিক্রি করে তারা এ কাজ করছে। এজন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান রাখতে হবে। তিনি বলেন, এরা দেশটাকে হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করতে চায়। কিন্তু এটা করতে দেয়া যাবে না। এদেশে সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এ আমাদের হাজার হাজার নিরপরাধ ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের অত্যাচারে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে লুকিয়ে ছিল। আমাদের মা-বোনদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনগুলোকে ভুলিয়ে দিতে চাইলে কি আর ভুলে যাওয়া সম্ভব! সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের যোগসাজশে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মোহল নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ করা, এই দেশের সর্বনাশ করা। এখন একটি নির্বাচিত সরকারের খুব দরকার। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক নুর করিম।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব সাদেক আহম্মদ খান, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সদস্য আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকারসহ অন্যান্যরা।