রাজধানীর উত্তরা ৩নং সেক্টরের হোয়াইট হল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫’। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল।
উৎসবে তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। উত্তরা মেইন ক্যাম্পাস, আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ দশটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চল্লিশটি উদ্ভাবনী প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। তিনটি বিভাগ: মেকানিক্যাল, নন-মেকানিক্যাল এবং আইওটি এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মীম আতিকুল্লাহ। উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফজলে এলাহী। তিনি বলেন,মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এখন দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করছে। আজকের এই আয়োজন তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. রিফাত আব্দুল্লাহ, সায়েন্স সেক্রেটারি, বি.আই.সি.এস। এছাড়া উৎসবে অংশগ্রহণকারী ১০টি শাখার প্রিন্সিপাল ও বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তানযীমুল উম্মাহ আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এইচ. এম. আবদুল্লাহ আল মামুন। ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর এম. এম. রবিউল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল।
প্রথম অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন মূল ক্যাম্পাসের ভাইস প্রিন্সিপাল এরশাদুল্লাহ আজহারী, আর সমাপনী অধিবেশনে দায়িত্ব পালন করেন স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রিন্সিপাল মাশহুদুল আলম।
উল্লেখ্য, তানযীমুল উম্মাহ আলিম মাদরাসা অতীতে জাতীয় ও আন্তঃকলেজ পর্যায়ে অসংখ্য সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি BCSIR জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০০৭ ও ২০১২, ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান মেলা। ঢাকা রেসিডেনশিয়াল কলেজের ৫ম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব ২০২৩, রাজউক কলেজ বিজ্ঞান মেলা, বিএএফ শাহীন বিজ্ঞান মেলা ২০২৩, এবং নটরডেম কলেজ বিজ্ঞান মেলা ২০১২-তে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সর্বশেষ ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২৫এ বিশেষ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রতিষ্ঠানটি দুবাই সাইন্স ফেস্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।