ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪(কসবা-আখাউড়া)আসনের বিএনপি মনোনিত এমপি প্রার্থী মোঃ মুশফিকুর রহমানের বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে। নির্বাচনের সাথে গণভোট দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট হলে ক্ষতি কি? জনগণ যা চাই তাই হবে। মানুষ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই।
শনিবার সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ৮টি ইসলামী দল নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবীর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নাশকতা করছে, এতে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে কীনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের বিপরিতে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে যে রাজনৈতিক বিভেদ থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও তো প্রতিবাদ হচ্ছে। তাহলে তার ফলাফল কোথায় হবে, ফলাফল হবে নির্বাচনে। জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। জনগণ যা বলবে তাই হবে।
এরপর রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে অপেক্ষমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় মুশফিকুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত জটিল। যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা বলছে তারা জানে তাদের পেছনে জনগণ নাই। সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে জনগণণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ১৭ বছর জনগনের ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ। এসময় নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
এর আগে মুশফিকুর রহমান চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন এসে পৌঁছলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। এসময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মুসলিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন হাজারী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার মো. বিল্লাল হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুল হুদা খন্দকার প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মন্তাজ মিয়া, সোহাগ খান, সাবেক ছাত্রদল নেতা মোবাশ্বির আহসান,মামুন আহমেদ, আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া গালিব,যুবদল নেতা মোঃ মোরাদ খাঁন, ছাত্রদল নেতা মোঃ রিফাত সহ আরো অনেকে। পরে তিনি সড়ক পথে কসবা উপজেলায় নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাত্রা করেন।