গত ৫০ বছর ধরে ভারত বন্ধু রাষ্ট্রের নামে বাংলাদেশকে শোষণ করেছে অভিযোগ করে দেশটির উদ্দেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে প্রেসক্লাবে আয়োজিত গণমিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল। সেই ভারত সরকার আবারও শেখ হাসিনাকে তাদের দেশে জায়গা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।’
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যদি সত্যিকার অর্থে সুসম্পর্ক চান, তাহলে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। আমরা আশা করব, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করবে।’
এনসিপি নেতা বলেন, ‘আদালত শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দিয়েছেন। আমরা ট্রাইব্যুনালের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছি। আজকে আমরা রাজপথে নেমেছি, এই রায় যেন অবিলম্বে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করা হয়। এই রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মজলুম জনতা ন্যায়বিচার পাবে।’
দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিচারের দাবি জানিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এনসিপি যতদিন থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।’
শেখ হাসিনার আত্মপক্ষ সমর্থনের নৈতিক ভিত্তি নেই মন্তব্য করে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সাহস থাকলে শেখ হাসিনা আদালতে আত্মসমর্পণ করে আত্মপক্ষ সমর্থন করতেন।’
এদিন বিকেলে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীদের বিচারের দাবিতে গণমিছিল করে এনসিপি।
মিছিলটি বাংলামোটর মোড় থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে তারা বক্তৃতা করেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।