ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আজিম উদ্দিন (৫৫) নামে এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী বয়স (১১)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য ত্রিশালের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে পরীক্ষার শেষে চিকিৎসক জানান, শিশুটি প্রায় সাড়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
গফরগাঁও পৌর শহরের রূপান্তর সিনেমা হল সংলগ্ন শিলাসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে শিশুর বাবা গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত আজিম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের রূপান্তর সিনেমা হল সংলগ্ন শিলাসী এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ শেখ ওরফে বুচা ব্যাপারীর ছেলে হাবিবুর রহমানের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই কন্যাশিশুকে নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। প্রায় এক বছর আগে ওই ব্যক্তির স্ত্রী মারা যান। এরপর থেকে তিনি দিনের বেলা কাজে বের হলে দুই শিশু বাসায় থাকত। ছোট শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসার মালিকের ছোট ভাই অভিযুক্ত আজিম উদ্দিন পাশেই মুদি দোকান চালান। বাসায় আসা-যাওয়ার সুবাদে আজিম উদ্দিন ওই শিশুকে দোকানে এনে বিভিন্ন কিছু খাওয়াতেন।
গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই শিশু দোকানে গেলে আজিম উদ্দিন তাকে খাওয়ানোর কথা বলে দোকানের পেছনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এই ভয় দেখিয়ে এ কথা কাউকে প্রকাশ না করতে বলে। কিছুদিন পর শিশুটির শারীরিক সমস্যা ও পরিবর্তন দেখা দিলে তার বাবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তখন চিকিৎসক জানান, শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা।
এরপর গত শনিবার (৬ আগস্ট) শিশুর বাবা তাকে ত্রিশাল উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, শিশুটি প্রায় সাত মাসের (২৭ সপ্তাহের) অন্তঃসত্ত্বা। এ অবস্থায় শিশুকে তার বাবা চাপ প্রয়োগ করলে সে বিস্তারিত ঘটনা জানায়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই শিশুর বাবা আজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ আজিম উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। অভিযুক্ত আজিম উদ্দিনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এই কাজ করিনি।
শিশুটির বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজিম উদ্দিন আমার মা হারা এতিম মায়াডার সর্বনাশ করছে। জীবনডা ধ্বংস কইরা দিছে। আমি এর বিচার চাই।’
-বাবু/শোভা